Have any questions?
+8801713776555

ভূমিকম্পে ঝুঁকি কমাতে সেরা ১০টি নিরাপদ ইন্টেরিয়র ডিজাইন পরামর্শ

ভূমিকম্পের সময় ঘরের ভেতরের আসবাব, কাঁচের সামগ্রী ও ঝুলন্ত সাজসজ্জাই সবচেয়ে আগে নড়ে ওঠে এবং অনেক ক্ষেত্রে বড় দুর্ঘটনার কারণ হয়। তাই ইন্টেরিয়র ডিজাইনে শুরু থেকেই নিরাপত্তা ভাবনায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। ভারী আসবাবের সঠিক অবস্থান, কাঁচের সচেতন ব্যবহার, শিশুদের ঘরে অতিরিক্ত সতর্কতা এবং পথচলার জায়গা খোলা রাখা, এই কয়েকটি সহজ বিষয় মেনে চললেই ঘর অনেক বেশি সুরক্ষিত থাকে।

এই ব্লগে আমরা ভূমিকম্পে ঝুঁকি কমাতে সেরা ১০টি নিরাপদ ইন্টেরিয়র ডিজাইন পরামর্শ তুলে ধরেছি, যা বাসা, অ্যাপার্টমেন্ট বা অফিস, সব স্থানের জন্যই কার্যকর।

বিস্তারিত জানতে কল করুন: ০১৭১৩৭৭৬৫৫৫ ভূমিকম্পে ঝুঁকি কমাতে সেরা ১০টি নিরাপদ ইন্টেরিয়র ডিজাইন পরামর্শ

সেরা ১০ নিরাপদ ইন্টেরিয়র ডিজাইন পরামর্শ

ভূমিকম্পের সময় ভেতরের সাজসজ্জা অনেক বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, তাই ঘর বা অফিস সাজানোর সময় নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া জরুরি। ভারী আসবাবপত্রের অবস্থান, কাঁচের ব্যবহার, ঝুলন্ত সাজসজ্জা, পথচলার জায়গা ও শিশুদের ঘরের সরঞ্জাম, সবকিছুই সতর্কভাবে পরিকল্পনা করলে দুর্ঘটনা অনেক কমে যায়।

এই ১০টি সহজ ইন্টেরিয়র ডিজাইন পরামর্শ অনুসরণ করলে ঘর আরও নিরাপদ, সুরক্ষিত ও ঝুঁকিমুক্ত থাকে:

১. ভারী আসবাবপত্র দেয়ালের সাথে শক্তভাবে আটকানো রাখুন

ভারী আলমারি, বুকশেলফ বা বড় স্টোরেজ যদি দেয়ালের সাথে শক্তভাবে বাঁধা না থাকে, ভূমিকম্পে এগুলো সহজে পড়ে গিয়ে বিপদ তৈরি করতে পারে। তাই স্ক্রু বা শক্ত বন্ধনী দিয়ে দেয়ালে আটকে রাখা নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

২. বেডের উপর ভারী সাজসজ্জা ব্যবহার করবেন না

বেডের উপরে ভারী ছবি, তাক বা শো পিস রাখলে ভূমিকম্পের সময় সেগুলো পড়ে গুরুতর আঘাত লাগার ঝুঁকি থাকে। তাই বেডের উপরের অংশ সম্পূর্ণ ফাঁকা রাখা সবচেয়ে নিরাপদ।

৩. ঝুলন্ত বাতি ও ছাদের সাজসজ্জায় শক্ত সংযোগ ব্যবহার করুন

ঝুলন্ত বাতি বা ছাদের সাজসজ্জা দুর্বল সংযোগে লাগানো থাকলে ভূমিকম্পে সহজে খুলে পড়ে যেতে পারে। তাই এগুলোকে শক্ত বন্ধনী ও নিরাপদ ঝুলানোর উপায় ব্যবহার করে স্থাপন করা জরুরি।

৪. কাঁচের সামগ্রী কম ব্যবহার করুন বা নিরাপদ স্থানে রাখুন

কাঁচের শো–পিস, আয়না বা বাসনপত্র ভূমিকম্পে ভেঙে ছড়িয়ে পড়ে আঘাতের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই এমন সামগ্রী কম ব্যবহার করা বা নিচু ও নিরাপদ স্থানে রাখা উত্তম।

৫. শিশুর ঘরে ওপরে ভারী জিনিস রাখবেন না

শিশুর ঘরে তাক বা আলমারির ওপরে ভারী জিনিস রাখলে ভূমিকম্পের সময় সেগুলো পড়ে গিয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই শিশুর আশেপাশে সবসময় হালকা ও নিরাপদ জিনিস রাখাই সবচেয়ে ভালো।

৬. রান্নাঘরে কেবিনেট ডোর ও র‍্যাকগুলোতে সেফটি লক ব্যবহার করুন

রান্নাঘরের কেবিনেট বা র‍্যাকে সুরক্ষা তালা না থাকলে ভূমিকম্পে প্লেট, গ্লাস বা ভারী জিনিস ছিটকে পড়ে যেতে পারে। সেফটি লক ব্যবহার করলে দরজা বন্ধ থাকে এবং ঝুঁকি অনেক কমে যায়।

৭. চলার পথ ফাঁকা ও খোলা রাখুন

চলার পথে অতিরিক্ত আসবাব বা সাজসজ্জা থাকলে ভূমিকম্পের সময় দ্রুত বের হতে বাধা তৈরি হতে পারে। তাই ঘরের মূল চলাচলের জায়গা সবসময় ফাঁকা ও খোলা রাখা নিরাপদ।

৮. গ্লাস পার্টিশনে টেম্পারড বা লেমিনেটেড গ্লাস ব্যবহার করুন

গ্লাস বিভাজনে সাধারণ কাঁচ ব্যবহার করলে ভূমিকম্পে সহজে ভেঙে তীক্ষ্ণ টুকরায় পরিণত হয়ে বিপদ বাড়ায়। টেম্পারড বা লেমিনেটেড গ্লাস ভাঙলেও ছড়িয়ে পড়ে না, তাই এটি অনেক বেশি নিরাপদ।

৯. ভারী যন্ত্রপাতি নিচের দিকে রাখুন

ভারী ফ্রিজ, টিভি বা অন্যান্য যন্ত্রপাতি উঁচু জায়গায় রাখলে ভূমিকম্পে সেগুলো পড়ে গিয়ে আঘাতের ঝুঁকি বাড়ে। নিচের দিকে রাখলে ভারসাম্য ঠিক থাকে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।

১০. কাস্টম ইন্টেরিয়র প্ল্যানিংয়ের সময় ভূমিকম্প নিরাপত্তা অন্তর্ভুক্ত করুন

কাস্টম ইন্টেরিয়র নকশা করার সময় শুরু থেকেই নিরাপত্তার বিষয়গুলো ভাবা হলে ভূমিকম্পের ঝুঁকি অনেক কমে যায়। তাই আসবাবের অবস্থান, ছাদের সাজসজ্জা ও পথচলার ব্যবস্থা সবকিছুতেই ভূমিকম্প সুরক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।

কেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনে ভূমিকম্প নিরাপত্তা জরুরি

ইন্টেরিয়র ডিজাইনে সামান্য ভুলও ভূমিকম্পের সময় বড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে, কারণ ঘরের ভেতরের আসবাব, কাঁচ, বাতি বা ঝুলন্ত সামগ্রীই সবচেয়ে আগে নড়ে ওঠে। তাই নিরাপদ বিন্যাস, শক্ত সংযোগ এবং সঠিক সাজসজ্জা মানুষের জীবন ও সম্পদ দুইই সুরক্ষিত রাখে। পরিকল্পনার শুরুতেই ভূমিকম্প নিরাপত্তা অন্তর্ভুক্ত করলে ঝুঁকি অনেক কমে যায়।

  • ঘরের ভেতরের বেশিরভাগ দুর্ঘটনা হয় আসবাব বা সামগ্রী পড়ে যাওয়ার ফলে।
  • কাঁচের সামগ্রী ভেঙে গুরুতর আঘাত লাগার ঝুঁকি থাকে।
  • শিশু ও বয়স্করা দ্রুত নড়াচড়া করতে না পারায় অতিরিক্ত ঝুঁকির মুখে থাকে।
  • পথচলার জায়গা বাধাগ্রস্ত হলে দ্রুত বের হওয়া কঠিন হয়ে যায়।
  • দুর্বল সংযোগযুক্ত বাতি বা ছাদের সাজসজ্জা পড়ে গিয়ে বড় ক্ষতি করতে পারে।
  • উঁচু স্থানে রাখা ভারী জিনিস দ্রুত পড়ে গিয়ে আঘাতের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • নিরাপদ নকশা জীবন ও সম্পদের ক্ষতির সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।

বাসা, অ্যাপার্টমেন্ট ও অফিস – কোন জায়গায় কোন সেফটি বেশি জরুরি

বাসা, অ্যাপার্টমেন্ট ও অফিস, প্রতিটি স্থানের ভেতরের ঝুঁকি আলাদা, তাই নিরাপত্তার ধরনও ভিন্নভাবে ভাবতে হয়। যেখানেই মানুষ নিয়মিত চলাফেরা করে বা দীর্ঘ সময় থাকে, সেখানে আসবাবের অবস্থান, কাঁচের ব্যবহার এবং ঝুলন্ত সামগ্রী আরও বেশি সতর্কতার সঙ্গে সাজানো জরুরি। প্রতিটি জায়গার প্রকৃতি অনুযায়ী সঠিক সুরক্ষা নিলে ভূমিকম্পের ক্ষতি অনেক কমানো যায়।

  • বাসায় শিশু ও বয়স্কদের ঝুঁকি মাথায় রেখে হালকা ও নিচু আসবাব ব্যবহার জরুরি।
  • অ্যাপার্টমেন্টে বারান্দা, কাঁচের বিভাজন ও ঝুলন্ত বাতি বেশি সতর্কতার সঙ্গে স্থাপন করা উচিত।
  • অফিসে কর্মীদের পথচলা খোলা রাখা এবং ঝুলন্ত সাজসজ্জা শক্তভাবে বাঁধা রাখা জরুরি।
  • ভারী কেবিনেট, যন্ত্রপাতি ও নথিপত্রের তাক অফিসে অতিরিক্ত নিরাপত্তা প্রয়োজন।
  • যেসব জায়গায় বেশি মানুষ একসঙ্গে থাকে, সেখানে জরুরি বের হওয়ার পথ সবসময় ফাঁকা রাখা অপরিহার্য।

ভূমিকম্পের সময় ঘরে থাকা অবস্থায় দ্রুত করণীয়

ভূমিকম্পের সময় ঘরের ভেতরে থাকলে আতঙ্ক না করে দ্রুত নিরাপদ অবস্থানে যাওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মাথা ও শরীর ঢেকে শক্ত কোনো আসবাবপত্রের নিচে আশ্রয় নিলে আঘাত লাগার সম্ভাবনা কমে যায়।

ভূমিকম্পের সময় ঘরে থাকা অবস্থায় দ্রুত করণীয়
  • জানালা, কাঁচ ও ঝুলন্ত সামগ্রী থেকে দ্রুত দূরে সরে যান।
  • টেবিল বা মজবুত আসবাবের নিচে মাথা ঢেকে বসে থাকুন।
  • দরজা বা বের হওয়ার পথে ভিড় করবেন না।
  • বিদ্যুৎ, গ্যাস বা চুলা থেকে দূরে অবস্থান নিন।
  • কাঁপুনি না থামা পর্যন্ত নিরাপদ অবস্থান বজায় রাখুন।

বর্ণমালা আর্কিটেক্ট এন্ড ইন্টেরিয়র কীভাবে ভূমিকম্প-নিরাপদ ইন্টেরিয়র ডিজাইন নিশ্চিত করে?

বর্ণমালা আর্কিটেক্ট এন্ড ইন্টেরিয়র ঘরের নকশা তৈরির শুরুতেই নিরাপত্তাকে প্রধানভাবে বিবেচনা করে, যাতে ভূমিকম্পের সময় আসবাব বা সাজসজ্জা কাউকে ক্ষতি করতে না পারে। আমরা আসবাবের অবস্থান, ছাদের সাজসজ্জা, কাঁচের ব্যবহার ও চলাচলের পথ, সবকিছুতেই সুরক্ষা নিশ্চিত করি। এতে বাসা, অ্যাপার্টমেন্ট বা অফিস, যেকোনো স্থান আরও নিরাপদ হয়ে ওঠে।

  • আমরা ভারী আসবাবপত্র দেয়ালের সাথে শক্তভাবে আটকানো রাখি।
  • ঝুলন্ত বাতি ও ছাদের সাজসজ্জায় আমরা নিরাপদ সংযোগ ব্যবহার করি।
  • আমরা কাঁচের বিভাজনে টেম্পারড বা লেমিনেটেড কাঁচ ব্যবহার করি।
  • চলার পথ সবসময় খোলা ও বাধামুক্ত রাখার নকশা করি।
  • শিশু ও বয়স্কদের জন্য আমরা আলাদা নিরাপত্তা বিবেচনা করি।
  • গৃহসজ্জার সামগ্রী এমনভাবে সাজাই যাতে জরুরি অবস্থায় দ্রুত বের হওয়া যায়।

সুরক্ষিত ইন্টেরিয়র নকশা চান? আমাদের সাথে আজই যোগাযোগ করুন

ভূমিকম্প নিরাপদ গৃহসজ্জা চান? বর্ণমালা আর্কিটেক্ট এন্ড ইন্টেরিয়র আপনার বাসা বা অফিসের জন্য পরিকল্পিত ও সুরক্ষিত নকশা তৈরি করে। নিরাপদ ইন্টেরিয়র জন্য আজই আমাদের বিশেষজ্ঞ দলের সাথে যোগাযোগ করুন

আমাদের ফোন করুন:০১৭১৩৭৭৬৫৫৫

নিরাপদ ইন্টেরিয়র নিয়ে সাধারণ প্রশ্নের উত্তর

ভূমিকম্পের সময় ভারী আলমারি, বুকশেলফ, টিভি, কাঁচের সামগ্রী এবং ঝুলন্ত বাতিই সবচেয়ে বেশি বিপদ তৈরি করে। এগুলো পড়ে গিয়ে আঘাত লাগার ঝুঁকি থাকে।

খুবই জরুরি, কারণ হালকা ঝাঁকুনিতেও ভারী আসবাব হেলে পড়ে যেতে পারে। দেয়ালে শক্তভাবে আটকে রাখলে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

শিশুর ঘরে তাক বা আলমারির ওপরে ভারী কিছু রাখা উচিত নয়। এছাড়া কাঁচের সামগ্রী, ঝুলন্ত সাজসজ্জা ও ধারালো কিছু একেবারেই না রাখা নিরাপদ।

কেবিনেট ও র‍্যাকে সুরক্ষা তালা ব্যবহার করা, ভারী বাসন নিচের দিকে রাখা এবং কাঁচের জিনিস নিরাপদ স্থানে রাখা প্রয়োজন।

হ্যাঁ। সাধারণ কাঁচ সহজে ভেঙে ছড়িয়ে পড়ে আঘাতের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই টেম্পারড বা লেমিনেটেড কাঁচ বেশি নিরাপদ।

হ্যাঁ। দুর্বল সংযোগে লাগানো ঝুলন্ত বাতি দ্রুত খুলে পড়ে যেতে পারে। শক্ত সংযোগ ব্যবহার করলে ঝুঁকি কমে যায়।

অফিসে প্রধানত চলার পথ ফাঁকা রাখা, কেবিনেট ও নথির তাক শক্তভাবে বাঁধা রাখা এবং ঝুলন্ত সাজসজ্জা নিরাপদ করা জরুরি।

জানালা বা কাঁচের কাছ থেকে দূরে গিয়ে মজবুত টেবিল বা আসবাবের নিচে মাথা ঢেকে অবস্থান করা সবচেয়ে নিরাপদ।

যন্ত্রপাতি ভারসাম্য হারায় না এবং ভূমিকম্পে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে। এতে আঘাতের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।

শুরুতেই সুরক্ষা বিবেচনা করলে আসবাবের অবস্থান থেকে চলাচলের পথ, সব জায়গায় ঝুঁকি কমে যায় এবং পুরো ঘর নিরাপদ হয়।
Let’s Get in Touch
Need interior design solutions?

Get free estimation about your project! Feel free to call or contact us.

Arrow